বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখক ও গবেষক আবদুল মন্নান বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া গ্রামে মুসলিম পরিবারে উনিশ’শ ছাপান্ন সালের ১ জুলাই জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম শহীদ আবদুর রহমান খান এবং মাতার নাম মোসাঃ রাহেলা খাতুন। উনিশ’শ একাত্তর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পিতা ও পিতামহ শহীদ হয়েছেন।
আবদুল মন্নান নিজ গ্রামে চরবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে এস. এস. সি এবং বরিশাল কলেজ থেকে এইচ. এস. সি পাশ করেন। শহীদ পরিবারে জ্যেষ্ঠ সন্তান হওয়ায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বি.এ ক্লাশে অধ্যয়নরত অবস্থায় সরকারি চাকুরি গ্রহন করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চরবাড়ীয়া ইউনিয়ন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক মরহুম ডাঃ সৈয়দ জাফর আলীর সাথে সার্বক্ষনিক কাজ করতেন।
আমাদের মুক্তি সংগ্রামে শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা জাতীয় স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার সুফলকে জনগণের দোর-গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তাই মুক্তমনের চর্চা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এ এলাকার শিশু-কিশোর, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা তাদের নির্মল চরিত্র, সুন্দর মন আর সুস্থ্য দেহের অধিকারীরূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আবদুল মন্নান প্রতিষ্ঠা করেছেন “শহীদ আবদুর রহমান খান স্মৃতি পাঠাগার”। এলাকার শিশু-কিশোরদের শরীর গঠন, তাদের সুকুমার বৃত্তি সমূহের বিকাশ, সৃজনশীল কর্মকান্ডে উৎসাহ প্রদান, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মান উন্নয়নের লক্ষে চরবাড়ীয়ায় ‘মুক্তকুঞ্জ খেলাঘর আসর’ নামে একটি খেলাঘর আসর প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা ও সাংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য ‘মুক্তকুঞ্জ একাডেমী’ প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বরিশাল সেচ প্রকল্পে ১৯৭৭ সাল থেকে কর্মজীবন শুরু। ১৯৮২ সালে সৌদি গমন এবং পাঁচ বছর চাকুরি শেষে দেশে আগমন। ১৯৮৭ সালে ঢাকায় উদয়ন প্রেসের কম্পিউটার শাখায় কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালের ৬ জুলাই থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মজীবন শেষে বর্তমানে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন।
১৯৬৯ সালে অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়নকালে চরবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক জনাব দিলীপ কুমার বসু এর নির্দেশনায় মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক জগতে প্রবেশ। মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হবার পর অনেকগুলো মঞ্চ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
দ্বিতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-২) এর আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (Special needs) এবং উপজাতি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে উদ্ভাবনী কার্যক্রম/সৃজনশীল কর্মকান্ড সম্বলিত প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) এর অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জেলেদের শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘শহীদ আবদুর রহমান খান স্মৃতি পাঠাগার’ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান আবদুল মন্নান কর্তৃক দাখিলকৃত “ভাসমান জেলেদের শিশু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্প”টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। সকল কার্যক্রম সাফল্যজনক ভাবে সমাপ্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, ইউনিসেফসহ এলাকার সর্বমহলে প্রশংসীত হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় বহির্ভূত নৌকায় বসবাসরত ভাসমান জেলে পরিবারের শিশুদের নৌকায় ভাসমান বিদ্যালয় তৈরী করে পড়াশুনা শেখানো দারিদ্র জেলে পরিবারের শিশুদের মাঝে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্প শেষে ভাসমান ৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পার্শ্ববর্তী রেজিষ্টার্ড ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি করানো হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের ত্রৈমাসিক মুখপত্র, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় লেখা-লেখির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য জগতে প্রবেশ। কলাম লেখক আবদুল মন্নান এর রচিত মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়ক প্রথম ইউনিয়ন ভিত্তিক “একাত্তরের রক্তাক্ত চরবাড়ীয়া” নামক গ্রন্থ ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে। “জীবন থেকে পাওয়া” কাব্যগ্রন্থ অমর প্রকাশনী ঢাকা কর্তৃক একুশে বইমেলা ২০০৬ সালে, অমর একুশে বইমেলা ২০০৯ সালে অমর প্রকাশণী কর্তৃক উপন্যাস “রূপসার প্রেম” এবং অমর একুশে বইমেলা ২০১৬ সালে অমর প্রকাশণী কর্তৃক গবেষণামূলক একটি প্রবন্ধ “মায়ের প্রতি আরজের ভালোবাসা” প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ‘মুক্তকুঞ্জ’ নামে বাৎসরিক স্মারক সংখ্যাসহ বেশ কয়েকটি স্মারক পত্রিকা সম্পানার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও স্মারক সংখ্যায় তার বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কথাসাহিত্যিক হিসেবে একটি জীবনালেখ্য ‘প্রচেষ্টা’ বই ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থ ‘চরবাড়িয়া গণহত্যা’ ২০১৯ সালে এবং সৌদি আরব এবং সেন্ট মার্টিন ‘ভ্রমন কাহিনী’ ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
শহীদ আবদুর রহমান খান স্মৃতি পাঠাগার এবং মুক্তকুঞ্জ খেলাঘর আসরের মুখপত্র হিসেবে ‘মুক্তকুঞ্জ ত্রৈমাসিক পত্রিকার’ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রি: সরকারি বি এম কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনের সভাকক্ষে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ শীর্ষক চতুর্থ প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সভাপতি ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট,খুলনা। অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ড. মোঃ মাহাবুবুর রহমান,পরিচালক, গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট,খুলনা। উক্ত ১০ দিনের প্রশিক্ষণ কোর্সে অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহন করেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবদুল মন্নান এর অংশগ্রহন সুযোগ হয়েছিল। উক্ত কোর্সে ৩০টি বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন সর্বজনাব প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, ড.মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়া কবির, ড. মো: মাহাবুবুর রহমান, ড. মোঃ ফায়েক উজ্জামান, শামসুজ্জামান খান, লে. কর্ণেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, ড. মেসবাহ কামাল, ফায়জুল আজিম, মুর্শিদা বিনতে রহমান, চৌধুরি শাহিদ কাদের , ড. মনিরুজ্জামান শাহিন, মামুন সিদ্দিকী প্রমুখ। কোর্স শেষে প্রত্যেককে গণহত্যা বিষয় বই লিখে পান্ডুলিপির জমা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। আবদুল মন্নান ‘চরবাড়িয়া গণহত্যা’ বিষয়ে পান্ডুলিপি জমা দেন। পুরস্কার হিসেবে তাকে দশ হাজার টাকার পুস্তক প্রদান করেন। ‘চরবাড়িয়া গণহত্যা’ বিষয়ক পুস্তক খানা গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট, খুলনা প্রকাশ করেছেন।
২২ মার্চ ২০১৯ গণহত্যা বধ্যভূমি জরীপ শীর্ষক সেমিনার শামসুর রহমান হল, বাংলা একাডেমি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং কার্যক্রমে অংশ গ্রহন ও ‘চরবাড়িয়া গণহত্যা’ শিরোনামে গবেষনাপত্র প্রণয়নের জন্য আবদুল মন্নানকে সনদপত্র প্রদান করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। মহোদয় লেখক ও গবেষক হিসেবে সনদ পত্র প্রদান করেছেন। সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
‘মায়ের প্রতি আরজের ভালোবাসা’ বই প্রকাশ হওয়ায় জেলা প্রশাসন বরিশাল জীবনানন্দ উৎসব ২০১৬ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ‘শুভেচ্ছা স্মারক’ প্রদান। কথা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য অমর প্রকাশনী, ঢাকা কর্তৃক ‘শুনীজন সম্মাননা স্মারক’ ২০১৬ প্রদান। অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন অব সার্ক (ওসাস) ও সার্চ নিউজ বিডি ডট কম কর্তৃক কবিতা ও কথা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ডেল কার্নেগী’ সম্মাননা ২০১৬ প্রদান। অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক’ ২০১৬ প্রদান। মহাত্মা গান্ধী গবেষণা পরিষদ কথা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় ‘মহাত্মা গান্ধী পিচ এ্যাওয়ার্ড ’ ২০১৫ প্রদান। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় ‘মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ ২০১৬ প্রদান। ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বগাঁথা সম্মাননা ২০১৬ প্রদান ।
১৯৭১ সালে গণহত্যা, বদ্ধভুমি ও গণকবর সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ অনুষ্ঠানে ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। একই সাক্ষাৎকার ২০০০ ডিসেম্বর পুনঃ প্রচার করা হয়েছে। ২০০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের রণাঙ্গনে স্মৃতি নিয়ে ধারণকৃত অনুষ্ঠান এ টি এন বাংলায় প্রচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে অনুরুপ অনুষ্ঠান ‘৭১ টেলিভিশন ও এটিএন বাংলায় কয়েকবার প্রচারিত হয়েছে।
শহীদ আবদুর রহমান খান স্মৃতি পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও দাতা সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের মৃত্যু বার্ষিকী উদ্্যাপন কমিটির সম্পাদক, দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান. গুণীজন সম্মাননা পরিষদের (মহান দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর) সাধারণ সম্পাদক, তালতলী পর্যটন কেন্দ্র ও ইকো পার্ক (প্রস্তাবিত) এর সাধারণ সম্পাদক, মুক্তকুঞ্জ খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, প্রাথমিক শিক্ষা সরকারি কর্মচারী সমিতি, খুলনা/বরিশাল বিভাগীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক। মুক্তকুঞ্জ একাডেমী এর পরিচালক। বরিশাল প্রবীণ হিতৈষী সংঘের আজীবন সদস্য। মুন্সী আবদুর রহমান ও সোনাবান বিবি শিক্ষা ট্রাস্ট এর যুগ্ম-সম্পাদক, সাহিত্যের আড্ডা এর যুগ্ম-সম্পাদক। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মন্নানের ঘর আলো করে এসেছে দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান। জেষ্ঠ্যপুত্র ব্যবসায় জড়িত এবং ছোট ছেলে সরকারি চাকুরিরত। কন্যা বিবাহিত চট্রগামে কমার্স কলেজে বি.এ অনার্স (অর্থনীতি) অধ্যায়নরত। সহধমির্নী মিসেস আলম তাজ। ১৯৮২ সনে পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। পাঠাগার, মুক্তকুঞ্জ খেলাঘর, মুক্তকুঞ্জ একাডেমী, আরজ আলী মাতুব্বর গবেষণা পরিষদ এবং লেখালেখি প্রভূতি নিয়ে অবসর জীবনে একের পর এক প্রতিবন্ধকতা জয় করে লক্ষ্য অর্জনের পথে তার নিরন্তন ছুটে চলা।
মঞ্চ নাটকের অভিনয় : ১৯৬৯ সালে অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়নকালে চরবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক জনাব দিলীপ কুমার বসু এর নির্দেশনায় মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক জগতে প্রবেশ। মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হবার পর বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করা হয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য নাটকের বইগুলো হলোঃ জবাবদিহী, সূর্যমহল, পল্লীশোষক, একটি পয়সা, রিকসাওয়ালা, কেদার রায়, উদয়নালা প্রভূতি।
সাক্ষাৎকার প্রচার : ১৯৭১ সালে গণহত্যা, বদ্ধভুমি ও গণকবর সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ অনুষ্ঠানে ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। একই সাক্ষাৎকার ২০০০ ডিসেম্বর পুনঃ প্রচার করা হয়েছে। ২০০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের রণাঙ্গনে স্মৃতি নিয়ে ধারণকৃত অনুষ্ঠান এ টি এন বাংলায় প্রচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে অনুরুপ অনুষ্ঠান ‘৭১ টেলিভিশন ও এটিএন বাংলায় কয়েকবার প্রচারিত হয়েছে। বৈশাখি টেলিভিষন ও বাংলাদেশ বেতার বরিশাল সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০১৮ খ্রি: তারিখ সকাল ৯টা ১৫ মিনিট বাংলাদেশ টেলিভিষনে “দেশটাকে ভালবেসে” অনুষ্ঠানে ‘চরবাড়িয়া গণহত্যা’ বিষয়ক আধা ঘন্টার একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপন করেন লে. কর্ণেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতিক। আলোচক লেখক ও গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি আবদুল মন্নান। শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তান ও প্রত্যক্ষদশী আবদুর রশীদ খান এবং পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে আহত ও প্রত্যক্ষদশী মোঃ আনোয়ার হোসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি টেলিভিষনে পুণঃ প্রচার করা হয়েছে ।
সম্মাননা:
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মন্নান
গ্রাম ও ডাক: চরবারিয়া, থানা: কাওনিয়া
বরিশাল সদর, বরিশাল।
০১৭১৫-৩৮০৩১৬, ০১৮৭২-৮১৪১৭৮
ইমেইল- mannan56.khan@gmail.com